অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। এমনকি ইসরায়েলে কর্মরত গাজার শ্রমিকদেরও ফেরত পাঠানো হবে বলে বৃহস্পতিবার তারা জানিয়েছে।
হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার আগে গাজার প্রায় ১৮ হাজার বাসিন্দার ইসরায়েলে প্রবেশ এবং কাজের অনুমতি ছিল। সেখানে কাজ করে তারা বেশি আয় করতে পারত।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বৃহস্পতিবার রাতে বলেছে, ‘ইসরায়েল গাজার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ ছিন্ন করবে। গাজা থেকে আসা আর কোনো ফিলিস্তিনি শ্রমিক থাকতে পারবে না। গাজার যেসব শ্রমিক যুদ্ধ শুরুর দিন ইসরায়েলে ছিলেন তাদের গাজায় ফেরত পাঠানো হবে।’
এ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আর কোনো বিস্তারিত তথ্য বলা হয়নি।
রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার ইসরায়েল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরের হাজার হাজার আন্তঃসীমান্ত গাজান শ্রমিককে গাজায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। তারা জানায়, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ও মিসরের মধ্যবর্তী রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের পূর্বে কেরাম শালোম ক্রসিং দিয়ে গাজার কিছু শ্রমিক ফিরে এসেছে।
ফিলিস্তিনি ছিটমহল অতিক্রমকারী শ্রমিকরা বলেছেন যে ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের আটক করেছে এবং তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। কারো কারো পায়ে প্লাস্টিকের স্টিকার লাগানো ছিল।
মধ্য গাজা উপত্যকার মাগাজি শরণার্থী শিবিরের একজন কর্মী জামাল ইসমাইল রয়টার্সকে বলেন, ‘বাড়িতে, রেস্তোরাঁয় এবং বাজারে সর্বনিম্ন মজুরির বিনিময়ে আমরা তাদের সেবা দিতাম, তাদের জন্য কাজ করতাম। তা সত্ত্বেও আমরা সবসময় অপমানিত হতাম।’
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইসরায়েলি বাহিনী রাস্তা কেটে ফেলার কাজ শেষ করার পর উত্তর গাজার এলাকার বাসিন্দাদের দক্ষিণেই থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।
Leave a Reply